শুরুর গল্প
আমেরিকানদের হাতে পৃথিবীর অনেক কিছুর শুরু হয়েছে। প্রেস রিলিজও তার ব্যতিক্রম নয়। ১৯০৬ পৃথিবীর প্রথম আধুনিক প্রেস রিলিজটি লেখেন মার্কিন নাগরিক আইভি লি। তখন তিনি পেনসেলভ্যানিয়ার রেলওয়েতে কাজ করতেন। আটলান্টিক শহরে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়, যে ঘটনায় প্রায় ৫০ জনের মৃত্য হয়। আইভি লে সে সময় পেনসেলভেনিয়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের একজন হিসেবে ঘটনাটি ধামাচাপা না দিয়ে বরং ঘটনাটির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে পৃথিবীর প্রথম প্রেস রিলিজটি লেখেন, এবং সেটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে প্রেরণ করেন। বলা হয়ে থাকে, জনসংযোগ পেশার জনক হিসেবে খ্যাত এ্যাডওয়ার্ড বার্নেস মূলত আইভি লি’র আইডিয়া ব্যবহার করেই জনসংযোগ পেশার তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক অবস্থান সৃষ্টি করেন।
প্রেস রিলিজের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট
আইভি লি’র পরে গত প্রায় ১১২ বছর ধরে প্রেস রিলিজ জনসংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ টুলস হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়ে আসছে। সময়ের বিবর্তণে প্রেস রিলিজের কাঠামো ও বিতরণ পদ্ধতিতে এসেছে নানা পরবির্তন। আমরা যদি প্রেস রিলিজের বিতরণ ব্যবস্থার ইতিহাসের দিকে তাকাতে চাই, তাহলে দেখবো প্রেস রিলিজের একদম প্রথম দিকে সেটা কেবল কাগজে লিখে প্রেরণ করা হতো।
এরপর দীর্ঘদিন হাতে লেখার পাশাপাশি বৈদ্যুতিন মাধ্যম যেমন : ফ্যাক্সের মাধ্যমেও প্রেস রিলিজ প্রেরণ করা হয়েছে। আর বর্তমানে, একুশ শতকের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর কর্মকাঠামোতে প্রেস রিলিজের বিতরণ ও কাঠামোতেও এসেছে নানান পরিবর্তণ।
আমরা এখন প্রেস রিলিজের সাবেকি যে পন্থা, হার্ড কপি প্রেরণ করা, সেটা তো করিই এর পাশাপাশি প্রেস রিলিজ বিতরণে তৈরি হয়েছে নানান পন্থা। আমরা যেমন ই-মেইল ব্যবহার করি, পাশাপাশি তেমনি সব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রেসরিলিজটি আপলোড করে রাখে ।
আর সোশ্যাল মিডিয়া তো আছেই। ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্রেস রিলিজ’ নামে নতুন ধরণ ও কাঠামোর ব্যবহারও শুরু হয়েছে আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ট্রেক্সট নির্ভর প্রেস রিলিজে পাশাপাশি আমরা মাল্টিমিডিয়া প্রেস রিলিজের যুগে প্রবেশ করেছি।