সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সাংবাদিকতা

লেখাটি শেয়ার করুন

লেখাটিতে যা থাকছে

বদলে যাওয়া দিন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের ব্যক্তিক ও সামাজিক জীবনে সৃষ্টি করে চলছে নতুন এক বাস্তবতা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গ্রামের চায়ের দোকানে এসে পৌছানো পত্রিকা কিংবা বই-পত্র ঘেটে প্রয়োজনীয় তথ্যে খোঁজাখুঁজির দিন পেরিয়ে আমাদের এখন মাউস আর স্মার্টফোন নির্ভরতা। গণমাধ্যম তথ্য বিপননের সাবেকি পন্থা থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেকে এখন ‘২৪/৭’। আর সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ প্রচারের লড়াইয়ে ইন্টারনেট যেন রাজপথ। এই পথে পাঠক ও সংবাদের মধ্যকার সেতু হিসেবে নিজেকে প্রমান করে চলছে সোস্যাল মিডিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারনে সংবাদপত্রের রিডারশিপ ও পাঠক মিথষ্ক্রিয়ার ক্ষেত্রে যেমন বড় ধরনের দৃশ্যমান পরিবর্তন চোখে পড়ছে, তেমনি সময়ের সাথে অনলাইন মিডিয়ার চলার গতি দেশের সংবাদপত্রগুলোকে অনলাইন সংস্করণে যেতে বাধ্য করছে।


চারপাশে, দেশ ও দেশের বাইরে কী ঘটছে, সেগুলো আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলপ্লাসসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেয়ে থাকি। আমাদের টাইমলাইন, নিউজফিড ভরে যায় দরকারি-অদরকারি অসংখ্য সংবাদ, ছবি ও ঘটনায়। দ্রুত সময়ে এক ক্লিকে পাঠকের কাছে সংবাদ পৌছে দেয়ার জন্য গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোও যার যার ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব একাউন্টে সরব উপস্থিতি যেমন জানান দিচ্ছে, তেমনি এসব কাজ করার জন্য আলাদা লোকবলও নিয়োগ করছে।

পরিসংখ্যান কি বলছে?


সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্তি আছে, যাদের প্রায় ৪৭ ভাগ মানুষই ব্যক্তিগত সোস্যাল মিডিয়ায় ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য, সংবাদ, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে থাকেন। তরুণদের মধ্যে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারের হার আরো বেশি, প্রায় ৯০শতাংশ।১ বাংলাদেশে যারা ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করেন, তাদের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের ফেসবুক একাউন্ট আছে।২ এই ৮০ ভাগ মানুষের সাথে যুক্ত আছে দেশের বাইরে থাকা অসংখ্যা বাংলাভাষাভাষী মানুষ, যাদের কারনে প্রথম আলো সদর্পে ঘোষণা দিচ্ছে বিশ্বজুড়ে বাংলা।


বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমগুলো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের জন্য সংবাদ প্রচার, প্রসার ও ব্রান্ড উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠছে। সম্প্রতি SerachMetrics এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। টুইটারে সর্বাধিক জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদপত্র হলো দ্য ওয়াশিংটন পোষ্ট, যার প্রকাশিত সংবাদগুলো সপ্তাহে ১,৭৫, ০০০ বার টুইট হয়। তালিকায় দ্বিতীয় সারিতে আছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, যার সাপ্তাহিক টুইট সংখ্যা ২, ৬০, ০০০। সাধারনত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের নাম বলতে গেলে ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপি, ইউটিউব, ভাইবার, ইমো, ইনস্টাগ্রামসহ অনেক নাম চলে আসে। এসবের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমটি হলো ফেসবুক, পিউ রিসার্চ সেন্টারের ভাষায় ‘ফেসবুক ইজ দ্য লিডার অব সোশ্যাল মিডিয়া’। ফেসবুকের কারনে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন, সার্কুলেশন ও বিপনন বিভাগেও আসছে পরিবর্তন। জনপরিসরে পত্রিকার ব্রান্ডিং, বিশ্বাসযোগ্যতা ও পাঠকপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য সংবাদপত্রগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভাবতে হচ্ছে নতুন করে।


আমাদের দেশে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন সমূহের বেশিরভাগেরই ফেসবুক পেইজ রয়েছে। অনলাইন সংস্করণে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই সেগুলো সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ফেসবুক পেইজে তুলে দেন। এর মাধ্যমে ওই পেইজের সাথে সংযুক্ত পাঠককেদর নিউজফিডে সংবাদটি চলে যায়। মহুর্তেই অসংখ্য পাঠকের কাছে সংবাদ পৌছে দেয়ার এই সুবিধা দেশের গোটা সাংবাদিকতা সংস্কৃতি বদলে দিচ্ছে। প্রতিটি জাতীয় দৈনিকই সারাদিন অনলাইন সংস্করণের মাধ্যমে পাঠক চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি দিনশেষে ছাপা অক্ষরে কাগজের পত্রিকা পৌছে দেন দেশের অলিগলিতে।

বাংলাদেশে যা হচ্ছে

দ্য নিউইয়র্ক টাইমস কিংবা ওয়াশিংটন পোষ্টের মতো বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোও সোস্যাল মিডিয়াকে কিভাবে ব্যবহার করছে, সেটা দেখার জন্য ডেটা ফুলের প্রজেক্ট লিড পলাশ দত্ত ‘সোস্যাল মিডিয়ায় দেশি গণমাধ্যমগুলোর ১৫ দিন’ শীর্ষক একটি লেখা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ১৬-৩০ জুন, ২০১৫ পর্যন্ত মোট ১৫ দিনের তথ্য হাজির করেন, যেখানে ৫টি জাতীয় দৈনিক ও ২টি সর্বাধিক পঠিত অনলাইন পত্রিকার ফেসবুক কার্যক্রম উঠে এসেছে। ফেসবুক পোষ্টের সংখ্যা, ফেসবুক পোষ্টে পাওয়া লাইক, ফেসবুক পোষ্টে পাওয়া মন্তব্য, ফেইসবুক পোষ্টে পাওয়া শেয়ার-এই চারটি জায়গা থেকে তিনি বাংলাদেশি গণমাধ্যমের সাথে সোস্যাল মিডিয়ার মিথষ্ক্রিয়া দেখার চেষ্টা করেছেন।


একটা সময় পর্যন্ত যেখানে টেলিভিশিন, রেডিও, সংবাদপত্র সংবাদ উৎস হিসেবে পাঠকের কাছে দাপুটে ভুমিকায় ছিলো, সেখানে বর্তমানে ইন্টারনেট ক্রমশই নিজের অবস্থানকে সুদৃড় করে চলছে। ২০০১ সালে যেখানে সংবাদ উৎস হিসেবে ইন্টারনেটের অবস্থান আর সব মিডিয়ার নীচে ছিলো, সেখানে মাত্র ১৩ বছরের ব্যবধানে গোটা চিত্র পাল্টে গেছে। ২০০১ সালে মাত্র ১৩ ভাগ মানুষ সংবাদ উৎস হিসেবে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করতো, সেখানে বর্তমানে ৫০ ভাগ মানুষ ইন্টারনেটকে মূল সংবাদ উৎস হিসেবে ব্যবহার করছে।

সংবাদ উৎস হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া

সংবাদ উৎস হিসেবে মানুষের এই ইন্টারনেট নির্ভরতার ক্ষেত্রে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া। যারা সংবাদপত্র কিনে ঘরে বসে আয়েস করে পড়ছেন, কিংবা টেলিভিশন রিমোট হাতে এই চ্যানেল ওই চ্যানেল করছেন, তারা তো আছেনই। কিন্তু এদের বাইরে একটা বড় অংশের পাঠক আছে, যারা ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাসের মাধ্যমে অনেকগুলো সংবাদের মাঝে পছন্দের সংবাদটি খুঁজে নেন। এছাড়া বর্তমান সময়ে সংবাদসূত্র হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সংবাদকর্মীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

গবেষকরা কী বলছেন?

আমেরিকার ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতার অধ্যাপক লরা উইলনাট ও ডেভিড ওয়েভার এক হাজার মার্কিন সাংবাদিকের উপর একটি গবেষণা করেন। তার “The American Journalist in the Digital Age.” শীর্ষক এই গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ৪০ভাগ সংবাদকর্মী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সংবাদসূত্র হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে অবহিত করেন। এক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা টুইটারকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রধান্য দেন, যেখানে খুব সহজে চলমান ঘটনাসমূহের ব্যপারে তথ্য পাওয়া যায়। গণমাধ্যম গবেষক রুথ এ. হারপার তার “The Social Media Revolution: Exploring the Impact on Journalism and News Media Organizations.” শীর্ষক প্রবন্ধে দেখান, প্রায় তিন-চতুর্থাংশ সাংবাদিক নিজ নিজ গণমাধ্যমে দ্রুত সব ধরনের সংবাদ প্রকাশ ও পাঠকের চাহিদা পুরণের জন্য সর্বদা দেশি ও বিদেশী গণমাধ্যমসমূহ পর্যবেক্ষনের আওতায় রাখেন। কখন কোন সংবাদপত্র কি প্রকাশ করছে, সে ব্যপারে সজাগ দৃষ্টি রাখেন। টুইটারের টাইমলাইন কিংবা ফেসবুকের নিউজফিড, সবসময়ই অসংখ্য সংবাদ, সংবাদের বিশ্লেষণ ও নানা রকম ঘটনার ছবি ও তথ্যে ভরাট থাকে। অনেক সময়ই সাংবাদিকরা এসব লিংক বা নিউজ ফিড থেকে নতুন নতুন প্রতিবেদন ও ফিচার লেখার রসদ পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি সাক্ষাৎকার গ্রহণ, কোন বিশেষ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত জানার জন্য সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নেন।


কেবল সাংবাদিকরাই নন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে সংবাদ পাঠকের পাঠাভ্যাস ও পাঠ পরবর্তি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০১৪ সালের এক গবেষণায় ৬ দেখা যায়, ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী পাঠকের অর্ধেক অংশ নিজস্ব অর্ন্তজালে সংবাদ, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে। এছাড়া প্রায় ৪৬ ভাগ পাঠক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, ছবি ও ভিডিওতে নিজস্ব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। সংবাদ ও পাঠকের এই মিথষ্ক্রিয়া যেমন যে কোন ইস্যূতে ব্যাক্তির মতামত, ভালোলাগা-মন্দলাগা প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি পাঠক ও প্রতিষ্ঠান, পাঠক ও সংবাদকর্মীর মধ্যকার মিথষ্ক্রিয়াকে শক্তিশালী করছে। এই মিথষ্ক্রিয়া
গণমাধ্যমের সচ্ছ্বতা, জবাবদিহীতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত একই সংবাদ কে কিভাবে প্রকাশ করছে, খুব সহজে সেটা বোঝার সুযোগ করে দিচ্ছে।


আগামীর পথচলা

সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমের এই একসাথে প্রসারিত হওয়ার গল্প আমাদের সাংবাদিকতাকে নিয়ে কোথায় দাঁড়াবে? নাইট ফাউন্ডেশন ও নাইট ডিজিটাল সেন্টারের সংবাদকর্মী ও কনসালটেন্ট মিচেল ম্যাকলিলেনের মতে, মোটাদাগে এখনকার সাংবাদিকতা যেন পাহাড়ের উপর থেকে বসে বলে দিচ্ছে পাহাড়ের নিচের লোকজন কিভাবে কি করবে, তাদের কি জানা দরকার, কি দরকার না। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার বিকাশের কারনে সে সুযোগটা কমে আসবে দিন দিন। বরং সাংবাদিকতায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈচিত্রতা ও ভিন্নমতের সম্মিলন ঘটবে বেশি মাত্রায়।

বিভিন্ন কমিউনিটির লোকজন নিজেদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নিজেদের বক্তব্য আরও সরবভাবে জানান দেবে, যেটা সাংবাদিকতা ও স্বয়ং সংবাদকর্মীকে প্রভাবিত করবে। ম্যাকলেলিনের মতে, সাংবাদিককে শুধু সংবাদ সংগ্রহ ও সেটা প্রকাশ প্রকাশ করলেই চলবে না, বিভিন্ন কমিউনিটিতে যেসব ইস্যূ নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয় সেগুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে, ‘কমিউনিটি ম্যানেজার’ হিসেবে ভূমিকা পালন করতে হবে। সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের ‘মিডিয়া কালচার’ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সি.ডব্লিউ এ্যান্ডারসনের মতে, অন্য অনেক বিটের মতে সামনে সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রিট বিট কাজের ক্ষেত্র হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। ইংল্যান্ডে চ্যানেল এস এর আন্তর্জাতিক সম্পাদক লিন্ডসে হিলসাম জানান, গণমাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার সাংবাদিকতা শিল্পের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাবে। এর মাধ্যমে খুব প্রান্তিক জায়গার সংবাদও আমরা জানতে পারবো। সংবাদ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি নিজের কথা নিজের মতো করে ছড়িয়ে দিতে পারবে। ৮ গণমাধ্যমের একটি গণতান্ত্রিক চরিত্র তৈরি হবে, যেখানে সাংবাদিক, পাঠক, দর্শক, শ্রোতারা মিথষ্ক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে।


গণমাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের ব্যপারে অনেক তাত্ত্বিক জাত গেলো, জাত গেলো বলে চিৎকার করেন। জনপ্রিয়তা ও অনলাইনে ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সময় ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশেরও অভিযোগ পাওয়া যায়। অনলাইনে বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকজন পক্ষমাতমূলক তথ্যও সরবরাহ করে থাকে, যা সংবাদকর্মীকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিতে পারে। আর এসব নানাবিধ সমস্যাকে মোকাবিলা করেই ভবিষ্যতের গণামাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াকে হাত ধরাধরি করেএগিয়ে যেতে হবে। যার যার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশে যেসব তরুণ-তরুণী সাংবাদিকতা বিষয়ে একাডেমিক শিক্ষা গ্রহণ করছেন, তাদের পাঠ্যসূচীতেও এ বিষয়ে দরকারি পঠনপাঠন এখন সময়ের দাবি।

তথ্যসূত্র :

1. Social Networking Fact Sheet, Pew research centre, January 23-26, 2014.

2. 80pc Bangladesh internet users on Facebook, The Daily Star, May 20, 2015

3. Vadim LavrusikSep, The Future of Social Media in Journalism, Mashable news,  13, 2010.

৪. সোস্যাল মিডিয়ায় দেশি গণমাধ্যমগুলোর ১৫ দিন, পলাশ দত্ত, জুলাই ৮, ২০১৫।

5. Amid Criticism, Support for Media’s ‘Watchdog’ Role Stands Out, Pew research centre,

August 8, 2013.

6. Harper, R. A. (2010). “The Social Media Revolution: Exploring the Impact on Journalism and News Media Organizations.” Student Pulse, 2(03).

7. Pew research centre, Phone survey, Feb. 27-Mar. 2, 2014.

8. I. Basen, “The Future of News in the Age of Social Media, CBC News 16 October 2009.

লেখাটি শেয়ার করুন:

সাম্প্রতিক লেখা

জনপ্রিয় লেখা

আরও লেখা পড়ুন

আমার
সম্পর্কে

আমি নাসিমূল আহসান। পড়াশুনা করেছি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। বর্তমানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। পাশাপাশি পাটপণ্যের বহুমখিকরণ, বিপনন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইউজুট’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিশেষায়িত কনটেন্ট মার্কেটিং এজন্সি ‘কনটেন্টো’র প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।